শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০১৫

অবশেষে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি উন্মুক্ত

একাদশ শ্রেণিতে পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ রেখে চতুর্থ ও শেষ মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি।

চতুর্থ মেধা তালিকার জন্য আবেদনকারী ৮২ হাজার ৫৪৪ জন শিক্ষার্থীর সকলকেই বিভিন্ন কলেজে মনোনীত করা হয়েছে। পাশাপাশি আসন খালি থাকা সাপেক্ষে এরইমধ্যে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা ছাড়পত্র (টিসি) নিয়ে পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই’২০১৫) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ায় চতুর্থ দফায় মনোনীতদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ ছাড়াও প্রার্থীদের মোবাইল ফোনে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
গত ১৩ থেকে ২১ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মেধা তালিকা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে যারা ভর্তি হতে পারেনি তারাও ভর্তি হতে পারবে। আমরা সবাইকে ভর্তির আওতায় আনছি, কেউ যেন বাদ না যায়। আসন খালি থাকা সাপেক্ষে টিসি নিয়ে পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবে।
আগামী আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সারা দেশে অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন করার নতুন নিয়ম চালু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবছর উত্তীর্ণ ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবেদন করে এ পর্যন্ত ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৫ জন ভর্তি হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
চতুর্থ তালিকার ৮২ হাজার ৫৪৪ জন ছাড়াও কারিগরিতে ৩০ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন নাহিদ। এছাড়াও অনেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হবে।
টিসি নিয়ে পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে যাতে ‘বাণিজ্য’ না হয় সেজন্য আমরা সক্রিয় আছি বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ায় কারিগরি জটিলতার মধ্যে নির্ধারিত সময়ের তিন দিন পর গত ২৮ জুন মধ্যরাতে প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে ১১ লাখ ৫৬ হাজার ২২৪ জন প্রার্থীর মধ্যে মনোনীত হয় ৯ লাখ ২৩ হাজার ১০৫ জন।
গত ৬ জুলাই দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়, যাতে মনোনীত হয় ১৭ হাজার ৬৪৭ জন।
আর তৃতীয় তালিকায় প্রকাশ করা হয় গত ১১ জুলাই, এতে স্থান পায় এক লাখ আট হাজার ৬৩৯ জন শিক্ষার্থী।
তিন দফায় শিক্ষার্থীদের অনেকেই পছন্দের কলেজ না পাওয়া এবং ‘ভুল’ বিভাগ মনোনয়নের কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে অনলাইন প্রক্রিয়ার কারণে এবার ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেনি।
অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বুয়েটের আইআইসিটি।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন